ধর্ষক নাইমের ছাত্রলীগ পরিচ​য় কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে মিডিয়া। বিএনপি-জামাতের কেউ হলে কি করতো?

18447212_840506016098186_210786347663126240_n
ঢাকার দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা বিস্তারিত পড়ে বেশ চমকে গেলাম। পুরাটাই যেন কোন মুভির স্ক্রিপ্ট। সংক্ষেপে তুলে ধরছি।
.
প্রথম পর্ব:… ছেলেটির জন্ম অনুষ্ঠান বলে আমন্ত্রণ করেছিল তার এই দুই বান্ধবীকে। তাই সেদিন সাজগোছ সেরে মেয়েটি বল্ল.. মা’ বন্ধুর জন্মদিন অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। হয়ত রাতে ফিরবো না হয় সকালে। এরপর তার আরেক বান্ধবীকে নিয়ে পৌছলো নির্ধারিত অনুষ্ঠান স্থল হোটেল `দ্য রেইন ট্রি’তে।
.
পরবর্তী সিন:.. কথাছিল হোটলে ছোট বার্থ’ডে পার্টি হবে কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন কেউ নাই। এরপর ধর্ষক শাফাত অফার দিল। কিন্তু মেয়ে রাজী হচ্ছিলনা। তখন পিস্তল তাক করে হিস হিস করে বলে, “কিরে চিনস এইটা?” হুমকি ধামকির সাথে চলছিলো ভয়ংকর রকমের গালি। বেশ্যা, মাগী আর অকথ্য সব শব্দ। নাঈম আশরাফ নামের ধর্ষকটি লাফিয়ে লাফিয়ে কিল ঘুষি চড় দিচ্ছিলো ভিকটিমদের। পুরো ঘটনায় দালালের ভূমিকায় ছিলো শাদমান। এরপর শুরু হয় মূল পর্ব! সারা রাত দুই ছাত্রীর উপর চালায় অমানবিক নির্যাতন,ধর্ষণ। সাথে সব কিছুর ভিডিও করেন।
.
বিদায় বেলায়: রাত শেষে সকালে বিদায় দেয়ার সময় বলে “তোরা হইলি এখন আমাদের কেনা মাগী। যখন ডাকমু আসবি”না হয় বিডিও ছেড়ে দেয়া হবে। একদিন এক ভিকটিমের বাসায় শাফাতের দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ যায়। ভয় পেয়ে যায় বাসার সবাই। আস্তে আস্তে জানাজানি হতে থাকে। হয় নাঈম আর শাফাতের সয্যা সঙ্গী হও, তা না হয় ভিডিও ভাইরাল!
.
একটা পর্যায়ে ওরা সিদ্ধান্ত নেউ ধর্ষকদের সাথে সমোঝোতা করবে। সেই কথা মত ধর্ষক নাঈম আর শাফাতের দুই বড় ভাইকে ধরে ভিকটিম মেয়েরা। দুই বড় ভাই বোঝায় ধর্ষকদের। ধর্ষক নাঈম আর শাফাত দাঁত বের করে হাসে। শাফাত বলে, “তাইলে বেইবী আমাদের বিয়া করবা?” এই বলে হাসতে থাকে সেই বড় ভাইদের সামনেই। কোনো সমঝোতা-ই হয়না আর।
.
থানায় মামলা সমস্যা: ধর্ষিতা মেয়েরা থানায় মামলা করতে ছাইলে থানার ওসি ফরমান আলী আর তদন্ত কর্মকর্তা মতিন তাদের ঘুরায়। এইসব কইরা কি হইবো, বাসায় যাওগা, জানাজানি হইলে বিয়া হইবো না, এরা প্রভাবশালী, এই বয়সে বিপদে পড়লে কিন্তু আর উঠতে পারবা না…এইসব বলতে থাকে ওসি ফরমান। একটা পর্যায়ে নাছোড়বান্দার মত থানায় পড়ে থাকায় মামলা নেন। ধীরে ঘটনা ফেইসবুক মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়!
.
ধর্ষকের পিতার ডায়লগ:…আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম বলছেন, জোয়ান পোলা একটু আধটু তো করবই আমিও করি …‘আরে মিয়া, আমার পোলা আকাম (ধর্ষণ) করছে তো কি হইছে।?😞
.
গ্রেফতারের সময় পুলিশের বয়ান:
“এদিকে, ধর্ষণ মামলার এই আসামী গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে ১০ কোটি টাকার অফার করেছিল বলে জানিয়েছে সেখানে উপস্থিত পুলিশের একটি সূত্র। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কথা শুনে খেপে যান এবং দুজনকেই বেশ কয়েকটি চড় থাপ্পড় মেরে গ্রেপ্তার করা হয়! বাহ! আমাদের পুলিশ কতই সৎ😃
.
ঘটনার একমাস পর সর্বশেষ দৃশ্যে মেয়েটিকে দেখলাম মাথায় কাপড় দিয়ে পর্দা সহকারে সাক্ষাতকার দিচ্ছে😃 কি বুঝলেন?

kutub shah

Leave a comment

Blog at WordPress.com.

Up ↑